দীর্ঘদিন ধরে দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চাপের মুখে রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিরোধীরা তো বটেই, এবার তার নিজের দলের ভেতর থেকেও উঠেছে তার পদত্যাগের দাবি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আসন্ন বুধবার দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগেই, সোমবার তিনি লিবারাল পার্টির নেতা পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন।
দলের ভেতরে অসন্তোষ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা
কানাডায় এই বছরের অক্টোবরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, লিবারাল পার্টি এবারের নির্বাচনে বড়সড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। কনজারভেটিভরা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে, এমনটাই কানাডার রাজনৈতিক মহলের জল্পনা। দলের অনেক সদস্যই এই অবস্থার জন্য সরাসরি ট্রুডোকে দায়ী করছেন।
এরই মধ্যে, কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এই ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক চাপ আরও বেড়েছে। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রুডোর পদত্যাগের সম্ভাব্য প্রভাব
সূত্রের দাবি, দলের চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে পারেন ট্রুডো। তবে তিনি দলীয় নেতা হিসাবে ইস্তফা দিলেও, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সঙ্গে সঙ্গেই সরে দাঁড়াবেন কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। নতুন নেতা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি হয়তো দায়িত্বে থাকতে পারেন।
ট্রুডোর ইস্তফার পর কানাডার ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে দু’ধরনের সম্ভাবনা সামনে আসছে। প্রথমত, অক্টোবরের পরিবর্তে আগেই সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে। এতে কনজারভেটিভ পার্টি সরকার গঠনের সম্ভাবনা প্রবল। দ্বিতীয়ত, ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ককে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ করা হতে পারে। তবে তিনি নির্বাচনে লড়তে চাইলে এই দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
ট্রুডোর ইস্তফার মাধ্যমে কানাডায় একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায় শুরু হতে পারে। তবে এটি একটি বড়সড় রাজনৈতিক সংকটও ডেকে আনতে পারে।