দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে বাকি !!

Days
Hours
Minutes
Seconds

ওজন কমানোর নতুন ট্রেন্ড: ‘৩০-৩০-৩০ পদ্ধতি’

ওজন কমানোর নতুন ট্রেন্ড: ‘৩০-৩০-৩০ পদ্ধতি’

একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানুষ এখন ব্যস্ত জীবনের মাঝে থেকেও হেলদি লাইফস্টাইলকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। ফিটনেসের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ডায়েটের মধ্যে পরিবর্তন আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন ট্রেন্ড হিসেবে কিটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা আমরা দেখেছি। তবে এখন হেলদি লাইফস্টাইলের জন্য ‘৩০-৩০-৩০ পদ্ধতি’ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পদ্ধতিটি শুধুমাত্র ওজন কমাতে সাহায্য করে না, বরং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়ক। চলুন এই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

৩০-৩০-৩০ পদ্ধতি কী?

এই পদ্ধতিটি তিনটি নিয়মের সমন্বয়ে গঠিত:

  1. প্রতিদিনের খাবার থেকে ৩০ শতাংশ ক্যালরি বাদ দেওয়া।
  2. ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা।
  3. ৩০ মিনিট মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করা।

১) খাবারের চার্ট থেকে ৩০ শতাংশ ক্যালরি কমানো

আপনার যদি মনে হয় যে আপনার লাইফস্টাইল ঠিক নেই এবং বাইরের তেলে ভাজা বা অপুষ্টিকর খাবার আপনার খাদ্য তালিকায় স্থান পায়, তবে পরিবর্তন আনার সময় এসেছে। প্রথমে আপনার বডি ম্যাস ইনডেক্স (BMI) ও ক্যালরি কাউন্ট বের করুন। সেখান থেকে জানুন, আপনার কত ক্যালরি প্রয়োজন এবং তা অনুযায়ী খাবারের ক্যালরি কমাতে শুরু করুন। যদি আপনার দৈনিক ক্যালরি ৩০০০ হয়, তবে সেটাকে ২১০০ তে নিয়ে আসুন।

ডায়েট চার্টে কী রাখা উচিত?

  • অল্প কার্বোহাইড্রেট
  • বেশি প্রোটিন
  • ফলমূল ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল

আপনি যদি চিনি, ভাজাপোড়া এবং অতিরিক্ত ভাত এড়িয়ে চলতে পারেন, তবে ৩০ শতাংশ ক্যালরি কমানো কঠিন কিছু হবে না।

২) ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা

দিনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। এই ব্যায়ামটি হতে পারে হাঁটা, ইয়োগা, অ্যারোবিক বা জুম্বা। শরীরকে মুভমেন্টের উপর না রাখলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, তা না হলে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে সমস্যা হতে পারে।

৩) ৩০ মিনিট মানসিক প্রশান্তি

এই তৃতীয় নিয়মটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন, মিউজিক শুনা, পরিবারের সাথে সময় কাটানো বা শখের কাজ করা কার্যকরী হতে পারে। স্মার্টফোনে অতিরিক্ত সময় কাটানো স্ট্রেস বাড়াতে পারে, তাই চেষ্টা করুন কিছু সময় ফোন থেকে দূরে থাকতে।

‘৩০-৩০-৩০ পদ্ধতি’ সম্পর্কে যারা জানতেন না, তারা এখন স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার গুরুত্ব শুধু নিজের জন্য নয়, আপনার চারপাশের মানুষের জন্যও অপরিহার্য। শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি। আশা করি, এই পদ্ধতি আপনার জন্য সহায়ক হবে। ভালো থাকবেন!

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
আরও পড়ুন
error: Content is protected !!