কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে? এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী মোক্ষ। সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি এই দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগের পরই বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মিছিলে, নাচে, গানে, কবিতায় আর জি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবাদকারীরা, এবং সেই প্রতিবাদ সোশ্যাল মিডিয়াতেও পৌঁছে গেছে।
মোক্ষ অভিযোগ করেছেন যে, আর জি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটা ন্যায় বিচারের কাছাকাছি পৌঁছাতে চাইছি, ততই আমাদের সামনে প্রতিকূলতা বেড়ে চলেছে। কিছু ফেক প্রোফাইল থেকে আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা সম্ভবত কোনও রাজনৈতিক দলের আইটি সেল দ্বারা পরিচালিত।’
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থনে এবং আর জি কর-কাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে মোক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব। সোমবার একটি ফেসবুক লাইভ করার পরপরই সেই লাইভ রেসট্রিক্টেড হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এরপর রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে সাহায্যের আবেদন জানালে সেই পোস্ট পুনরায় ফিরে আসে তাঁর ফিডে। মোক্ষ বলেন, ‘লাইভে কোনও অশালীন ভাষা ব্যবহার করিনি, কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে বলেছি। লাইভের পরপরই সেটি রেস্ট্রিক্টেড করে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করার পরেই পোস্টটি আবার ফিরিয়ে আনা হয়।’
এই বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সব্যসাচী মিত্র মন্তব্য করেছেন, ‘এখন আন্দোলনের দুটি দিক রয়েছে। একটি হলো সরাসরি পথে নেমে প্রতিবাদ, আর অন্যটি হলো ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিবাদ। সারা বিশ্বের মানুষ এই ডিজিটাল প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। যদি সরকার এই ভার্চুয়াল আন্দোলনকেও কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে, তবে তা অত্যন্ত অনুচিত।’
মোক্ষের এই অভিযোগ এবং ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কণ্ঠরোধের অভিযোগ ঘিরে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।