Ad_vid_720X90 (1)
Advertisment
আরজি কর কাণ্ডের পর নারী নিরাপত্তা জোরদারে সরকারের উদ্যোগ: চালু হল 'রাতের সাথী' অ্যাপ

আরজি কর কাণ্ডের পর নারী নিরাপত্তা জোরদারে সরকারের উদ্যোগ: চালু হল ‘রাতের সাথী’ অ্যাপ

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে সাম্প্রতিক ঘটনায় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে মহিলা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। এই উদ্যোগের প্রধান অঙ্গ হল ‘রাতের সাথী’ অ্যাপ, যা মহিলাদের জন্য নাইট শিফটের সময় বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করবে।

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে মহিলাদের জন্য পৃথক রেস্ট রুম এবং টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। মহিলা নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং সেফ জোন গঠন করা হচ্ছে, যা ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে।

‘রাতের সাথী’ অ্যাপটি স্থানীয় থানার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে, এবং বিশেষ প্রয়োজনে মহিলারা সরাসরি হেল্পলাইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এছাড়া, যৌন নির্যাতন রোধে প্রতিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে বিশেষ কমিটি গঠন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা দ্রুত অভিযোগের তদন্ত করবে।

রাতের শিফটে কর্মরত মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি পেট্রোলিং বাড়ানোর পাশাপাশি, পানীয় জল এবং অন্যান্য জরুরি সুবিধার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। হাসপাতালের সমস্ত কর্মীকে ছবি সম্বলিত পরিচয়পত্র বহন করতে হবে এবং মহিলাদের ১২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি না দিতে কঠোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এই প্রোটোকল মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে, এবং মহিলাদের রাতের শিফটে কাজের সুযোগ নিশ্চিত করতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ‘রাতের সাথী’ অ্যাপ চালু করে সরকার আশা করছে যে, মহিলাদের সুরক্ষা আরও শক্তিশালী হবে, এবং এর মাধ্যমে তাদের আতঙ্কমুক্ত পরিবেশে কাজ করতে সহায়তা করা হবে।

এমার্জেন্সি বা প্যানিক সিচুয়েশনের ক্ষেত্রে দ্রুত সাহায্য পাওয়ার জন্য হেল্পলাইন নম্বর ১০০ বা ১১২ ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালগুলিতে সিকিউরিটি চেক এবং ব্রেথালাইজার টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে।

বিশাখা কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী, সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই গাইডলাইন মেনে চলার আবেদন করা হয়েছে, এবং সব জেলায় এই কর্মসূচি কার্যকর হবে।

রাতের ডিউটিতে থাকা সময় একসঙ্গে দু’জন মহিলা কাজ করার প্রতি জোর দেওয়া হবে এবং নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রেও পুরুষ ও নারীর সমানুপাতে নজর রাখা হবে।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
error: Content is protected !!