ভারতের মাটি থেকে হাজার মাইল দূরে, আটলান্টার রাস্তায়ও এবার শোনা যাচ্ছে আরজি কর হাসপাতালের ছাত্রী-খুনের প্রতিবাদের গর্জন। বাংলার হৃদয়কে নাড়া দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে প্রবাসী বাঙালিরাও। ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে যখন বাংলার শহর-গ্রামে মিছিল চলছে, ঠিক তখনই আটলান্টায় বসবাসকারী বাঙালিরা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশের জন্য পথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য এবং সুমন হালদারের মতো প্রবাসী বাঙালিদের উদ্যোগে আটলান্টার বাঙালি সম্প্রদায় একত্রিত হয়েছে। যদিও এ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি কোনও ক্লাব বা সংগঠনের ব্যানারে নয়, বরং স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আটলান্টার স্থানীয়রাও এই প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন, যা পুরো ঘটনাটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আরজি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। দেশে ঘটে যাওয়া এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ করতে না পারলে নিজের দেশ, নিজের মাতৃভূমির প্রতি সম্মান বোধহীন হয়ে পড়বে। তিনি জানান, লন্ডনেও এই ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
আটলান্টা থেকে রিচা সরকার নন্দী বলেছেন, “এ ধরনের ঘটনা মনকে ব্যথিত করে। সঠিক বিচার না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।” শুভশ্রী নন্দীও একই মত প্রকাশ করে বলেছেন, “দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। আমরা আমাদের রাজ্যে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।”
প্রতিবাদের মিছিল শুরু হবে আটলান্টার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায়। মহিলারা, পুরুষ সকলেই থাকবেন, জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হবে এই জমায়েত। এরপর শুরু হবে মিছিল, যেখানে থাকবে স্লোগান এবং বক্তব্য।
শুধু আটলান্টা নয়, লন্ডনের ট্রিনিটি চার্চে এবং লিডস শহরেও একই সময়ে প্রতিবাদী বাঙালিরা জড়ো হচ্ছেন। স্কটল্যান্ডের এডিনবরার ন্যাশনাল গ্যালারি অব স্কটল্যান্ডের সামনে প্রায় সত্তর জন ভারতীয়, যাদের মধ্যে অনেক চিকিৎসকও ছিলেন, তারাও এই ঘটনার নিন্দা জানাতে পথে নেমেছেন।
এমনকি প্যারিসের বাঙালিরাও একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সমাজমাধ্যমে তাঁদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে বাঙালি সম্প্রদায়ের এই প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য ভৌগোলিক দূরত্ব কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।