হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মার্গশীর্ষ অমাবস্যা, মার্গশীর্ষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দিনটিতে পালিত হয়। এটি অগাহন অমাবস্যা নামেও পরিচিত। এই দিনটি পিতৃ তর্পণ, স্নান, দান ও পুণ্য কর্মের জন্য অত্যন্ত শুভ। এছাড়া, এই দিনে ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মীর পূজা করাও খুবই মঙ্গলজনক বলে ধরা হয়।
মার্গশীর্ষ অমাবস্যার উপবাস ও পূজা বিধি
মার্গশীর্ষ অমাবস্যা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে পিতৃ পূজা করলে উপবাসী ব্যক্তি এবং তার পূর্বপুরুষদের জন্য মহান ফল লাভ হয়। উপবাসী ব্যক্তির নিম্নলিখিত বিধি অনুসরণ করা উচিতঃ
- সকালে পবিত্র নদী, হ্রদ বা পুকুরে স্নান করুন। স্নান করার সময় প্রবাহমান জলে তিল (তিল) দিয়ে দান করুন, গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন বা ভগবান নারায়ণের নাম স্মরণ করুন এবং সূর্য দেবতাকে অর্ঘ্য দিন।
- পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ভগবান শিব বা ভগবান বিষ্ণুর পূজা করুন।
- পবিত্র নদীর তীরে পূর্বপুরুষদের শান্তি ও মুক্তি লাভের জন্য পিতৃ পূজা বা তর্পণ করুন।
- উপবাসের সময় জল পান করা উচিত নয়।
- পরে, দরিদ্র বা ব্রাহ্মণদের মধ্যে খাদ্য, বস্ত্র, জুতো, শস্য ইত্যাদি দান করুন।

সত্যনারায়ণ পূজা
এই দিন অনেক মানুষ তাদের পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ লাভ ও জীবনের অশুভ প্রভাব দূর করার জন্য সত্যনারায়ণ পূজা করেন। পূজা স্থলে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি বা ছবি এবং দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি স্থাপন করা হয়। পরিবার-পরিজন পূজা বিধি অনুসারে দেবতাদের পূজা করেন এবং তাঁদের দুধের ক্ষীর নিবেদন করেন। পরে, সত্যনারায়ণ কাহিনী পাঠ ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
মার্গশীর্ষ অমাবস্যার গুরুত্ব
প্রতিটি অমাবস্যার মতোই মার্গশীর্ষ অমাবস্যায় পিতৃ পূজা করা হয়। তবে এই দিনে ধর্মীয় কাজগুলি অত্যন্ত পবিত্র এবং এটি ভক্ত ও তাদের পূর্বপুরুষদের জন্য মহৎ ফল প্রদান করে। তিল তর্পণ এবং পিণ্ড দান পূর্বপুরুষদের মুক্তি ও শান্তি লাভে সহায়তা করে। পাশাপাশি, এই দিনে উপবাস করলে পাপ মোচন হয় এবং ভক্তের জীবনে